মাঘ মাসের মাঝামাঝি ফাল্গুনের আগমনিতে বাঙ্গালি ঐতিহ্যের নানান ধর্ম বর্ণ গোত্রের মিলনে গড়ে উঠেছে বাঙালির প্রাণের পিঠা মেলা। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ইসলাম, লালন শাহ, হাসন রাজা, রাধারমণ বাংলার প্রাণের স্পন্দন। প্রতিকুল পরিবেশে ২০o৮ জানুয়ারি মাসে, জরুরী অবস্থা চলা কালে কফি হাউজের আয়োজনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী সহযোগিতায় যাত্রা শুরু হয়েছিল জাতীয় পিঠা উৎসব। সেই থেকে নিয়মিত ভাবে এবার ও অষ্টাদশ জাতীয় পিঠা উৎসব ১৪৩১ ঢাকা জাতীয় শিল্পকলা একাডেমীর মাঠ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। অন্তবর্তী সরকারের সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, অধ্যাপক ড.সৈয়দ জামিল আহমেদ (আহ্বায়ক), খন্দকার শাহ আলম সদস্য সচিব অষ্টাদশ জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদগণরা উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। ৩০ জানুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ১৬ থেকে ২৫ মাঘ প্রতি দিন সকাল ৯ থেকে রাত ৯ পর্যন্ত পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠা শিল্পীগণ। বলাবাহুল্য এবারই প্রথম নারায়ণগঞ্জ পিঠা ঘর উৎসবে অংশ নিতে দেখা যায় এবং পাহাড়ী গোষ্ঠী গুলো থেমে থাকে নি, তারাও তাদের ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু মুন্ডি ও বিন্নি চাউল এর বিভিন্ন পিঠার পশরা সাজিয়ে বসেন। বিভিন্ন জেলা থেকে অংশগ্রহণ কারি একশত অধিক ষ্টল দেখা যায়। হ্নদয়ের মমতা উজাড় করে শত রকমের নান্দনিক পিঠা তৈরি, প্রদর্শনী ও বিক্রয় করে দশ দিন। জাতীয় পিঠা উৎসব পরিণত হয় বাঙালির পিঠার শৈল্পিক প্রতিযোগিতায়, বিচারকগণের রায়ে সমাপনী দিনে পাঁচ জনকে বছরের সেরা পিঠাশিল্পী সম্মাননা স্মারক প্রধান করা হয়। প্রতিদিন বিকাল পাঁচটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত দেশের সারা জাগানো স্বনামধন্য কবিদের কবিতা পাঠ, নৃত্য, গান, যাত্রা পালা, নাটক সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রতিদিন অনুষ্ঠিত হয়।
