২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নাইকন ফ্যান ক্লাব বাংলাদেশ এর উদ্যোগে সুন্দরবনে আউটিং এর আয়োজন করা হয়

নাইকন ক্লাবের সদস্যবৃন্দ

নাইকন ফ্যান ক্লাব বাংলাদেশ আয়োজিত ৪৪ জন অভিযাত্রীকে নিয়ে ৩১ অক্টোবর বিকেল পাঁচটায় এনা পরিবহনের ভলভো বিশাল এসি বাসে একঝাঁক আলোকচিত্রী ঢাকা থেকে সুন্দরবন উদ্দেশে রওনা হয়।কার্তিক মাসের ঠান্ডা হিমেল হাওয়ায় রাত ১১ টায় বিশাল জাহাজটি দিয়ে সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা সকাল ৬ টায় সুন্দরবনের মাঝ নদীতে নোংঙ্গল করে সকল আলোকচিত্রীদের নিয়ে ২ টি ইঞ্জিন নৌকায় সে তার গন্ডি পেরিয়ে যেতে থাকে আপন ঠিকানায় যেখানে পাতার ফাঁকে ফাঁকে চোখ দুষ্টু পাখির কিচিরমিচির শব্দে শিহরণ জাগায়। নাম না জানা পাখি গুলো ওরে বেড়াচ্ছে, অভিযাত্রী আলোকচিত্রী রা তাদের বিশাল বিশাল নামি দামি ক্যামেরায়
তাক করে রেখেছে ঘন্টার পর ঘন্টা এক মাত্র ক্যামেরা বন্দি করার জন্য। জানা যায় সুন্দরবনে যে সকল পাখি উড়তে দেখা যায় তা একমাত্র বাংলাদেশের সুন্দরবনেই দেখা যায়। আলো আধারির শ্বাসমূলের বনের চার পায়ে হাঁটা বাঘের সঙ্গে প্রতিদিনই টেক্কা দেয় চিত্রা হরিণের ঝাঁক, মায়ের সাথে লুকোচুরি খেলে দুষ্টু বানরের দল। জোয়ার ভাটার এই বনে লুকিয়ে চলা শূকরের পাল। বনের পাশ দিয়ে ধীরগতিতে কোন শব্দ না করে চলে নৌকা, কপাল ভালো হলে বাঘ , হরিণ , কুমির সহ বিভিন্ন বন প্রাণী গুলো দেখা যায় বনের অরণ্যে। ডিমের চর দুবার চর হোমড়া খালী কটকা, আন্দার মানিক সহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় চিত্রা হরিণের পাল মনে হয় কোন রাখাল তাদের কে পরি চালনা করছে। সুন্দরবনকে বলা হয় ভয়ংকর সুন্দর একটা জায়গা যেখানে যেতে হয় শরীরের সবগুলো ইন্দ্রিয়কে জাগিয়ে দেয়, সুন্দরবনে বাঘ হরিণের আকর্ষন যেমন আছে তেমনি আছে বিস্ময়কর চোখ জুড়ানো ভালোবাসা।

আরও পড়ুন...