২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা 

সাতবার সেমিফাইনাল হারা দক্ষিণ আফ্রিকা এবার নতুন করে লিখলো ইতিহাস। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকা এক কথায় উড়িয়েই দিয়েছে আফগানিস্তানকে।

লো-স্কোরিং ম্যাচে মার্কো জানসেন আর তাবরাইজ শামসিদের বোলিং তোপে আফগানিস্তান অলআউট হয়েছে মোটে ৫৬ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫ রানের মাথায় কুইন্টন ডি কক আউট হলেও হেসেখেলেই নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় প্রোটিয়ারা।

লক্ষ্য কেবল ৫৭ রান। এমন অবস্থায় রান তাড়া করতে খুব একটা ঝুঁকি নেয়নি প্রোটিয়ারা। শুরুতে ডি কক ফিরে গিয়েছিলেন ফজলহক ফারুকির দারুণ এক ইনসুইং ডেলিভারিতে। ক্ষণিকের জন্য সেটা স্বস্তি দিয়েছিল রশিদ খানদের। এরপরেই এইডেন মার্করামকেও ফেরাতে পারত তারা। তবে মার্করামের ব্যাট ছুঁয়ে গুরবাজের হাতে বল জমা পড়লেও রিভিউ নেয়নি তারা।

আফগানিস্তান ম্যাচে সুযোগ পেয়েছে ওই পর্যন্তই। এরপর থেকে আর কোনপ্রকার ভুল করেননি মার্করাম এবং রিজা হেন্ড্রিকস। দু’জনের অবিচ্ছিন্ন ৫১ রানের জুটি দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথমবারের মতো তুলে দেয় যেকোন বিশ্বকাপের ফাইনালে। নিজেদের ৮ম সেমিফাইনাল ম্যাচে এসে এমন সাফল্য পেল প্রোটিয়ারা। ৬৭ বল বাকি থাকতেই ফাইনাল নিশ্চিত করল তারা।

ম্যাচের ভাগ্যটা অবশ্য লেখা হয়ে গিয়েছিল আফগানিস্তানের ইনিংসের পরেই। আরও স্পষ্ট করে বললে ইনিংসের প্রথম ৬ ওভারে। পাওয়ারপ্লেতেই আফগানিস্তান হারালো ৫ উইকেট। বিশ্বকাপে এর আগে এমন বিপর্যয় দেখেছিল কেবল উগান্ডা, পাপুয়া নিউগিনি এবং আয়ারল্যান্ড।

প্রথম ওভারে গুরবাজ, তৃতীয় ওভারে গুলবাদিন নাইবকে ফিরিয়ে ধ্বংসযজ্ঞের শুরু করেছিলেন মার্কো জানসেন। চতুর্থ ওভারে কাগিসো রাবাদা ফেরান মোহাম্মদ নবী আর ইব্রাহিম জাদরানকে। ১০ রান করে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ফিরলে একপ্রকার শেষই হয়ে যায় আফগানিস্তানের ফাইনালের স্বপ্ন।

সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়ানো হয়নি আফগানদের। ৫০ রানের মাথায় পতন ঘটে আরও ৩ উইকেটের। শেষ পর্যন্ত টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোরের লজ্জা নিয়ে মাত্র ৫৬ রানেই অলআউট হতে হয় আফগানিস্তানকে।সূত্র-দৈনিক পূর্বকোণ

 

আরও পড়ুন...