চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শিরোপার দৌড়ে আরও একধাপ এগিয়ে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনী। শনিবার (৪ মে) আরেক শিরোপাপ্রত্যাশী চট্টগ্রাম বাদার্স ইউনিয়নকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে তারা এ লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
এবারের লিগে শনিবারের খেলার আগ পর্যন্ত শিরোপার দৌড়ে ছিল অন্তত চারটি দল। তার মধ্যে এটি ছিল নবম রাউন্ডের প্রথম ও বিগ ম্যাচ। ম্যাচটিতে মুখোমুখী হয় দুই শিরোপা প্রত্যাশী বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনী ও চট্টগ্রাম ব্রাদার্স। দুটোই বড় বাজেটের দল হিসেবে লিগের খবর রাখেন এমন সবার প্রত্যাশা ছিল ম্যাচ যারাই জিতুক তবে জমজমাট একটা লড়াই হবে। টান টান থাকবে উত্তেজনা। পেণ্ডুলামের মতো এদিক-ওদিক ঝুঁকতে থাকবে। সমর্থকরা টেনশনে থাকবে। কিন্তু হয়েছে উল্টোটা। চট্টগ্রাম আবাহনীর সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ব্রাদার্সের খেলোয়াড়রা। ১১২ রানের বড় ব্যবধানে হেরে শিরোপার লড়াই ছিটকে গেছে দলটি।
নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৯.২ ওভারে ২৬৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় চট্টগ্রাম আবাহনী। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রানের ইনিংস খেলেন আজমুল হুদা আজাদ। এছাড়া ওপেনার তাজুল ইসলাম ৪৪, সাইদুল ইসলাম সানজু ২৭, মোহাম্মদ শোয়াইব ৪৩, মুমিনুল হক ২৯ ও আবু বক্কর জীবন ২৮ রান করে দলীয় ইনিংসে অবদান রাখেন। বল হাতে ব্রাদার্সের আরমান হোসেন ৪০ রানে ৩টি এবং এএসএম নকিব ৫৩ রানে ও কাজী কামরুল ৬০ রানে দুটি করে উইকেট নেন।
২৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম ব্রাদার্স ইউনিয়ন শুরুতে ভাল কিছু করার আশার জাগালেও উদ্বোধনী জুটি বিদায় নেয়ার পর দলের ব্যাটাররা ১৫২ রানের বেশি করতে পারেননি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান আসে সাদিকুর রহমানের ব্যাট থেকে। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার কফিল উদ্দিন করেছেন ৩৪ রান। বাকি কোন ব্যাটারের রানের চাকা ২০ এর ঘরে পৌঁছাতে সক্ষম হয়নি। আবাহনীর হয়ে পাঁচ উইকেট নেন মো. ওবায়দুল্লাহ, এছাড়া মোহাম্মদ শোয়াইব শিকার করেন তিন উইকেট।
খেলা শেষে চট্টগ্রাম আবাহনীর ভাণ্ডারে যোগ হয়েছে আরও তিন পয়েন্ট অর্থাৎ ২৪। আর ২১ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত আগের জায়গায় সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে ব্রাদ্রার্সকে।
চলতি মৌসুমের শিরোপা ঘরে তুলতে আবাহনীর সামনে কেবল বাধা দুটি, এক গতবারের রানার্সআপ চট্টগ্রাম বন্দর ক্রীড়া সংস্থা এবং আরেক শিরোপা প্রত্যাশি বড় বাজেটের দল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। দুই খেলায় জিতলে শিরোপা নিজেদের করে নিবে দলটি। যদি অন্য কিছু ঘটে তাহলে গনেশ পাল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ আবাহনীর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে লিগের দুই জায়ান্ট দল বন্দর ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র।
এর আগে আট ম্যাচ শেষে দু দলেরই পয়েন্ট ছিল সমান ২১ করে। দু দলই হেরে ছিল একটি করে ম্যাচ। যেখানে আবাহনী হেরেছে পাইরেটস অব চিটাগাং এর কাছে আর ব্রাদার্স ইউনিয়ন রাইজিং স্টার ক্লাবের কাছে। তবে দু‘দলের পয়েন্ট সমান থাকলেও তখনও নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে পয়েন্ট তালিকার এক নম্বর স্থানটি দখলে রেখেছিল আবাহনী।